হায়রে সমাজ, কোন এই সমাজে আমাদের বাস।
নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জ থানার এক ৩৭ বছর বয়সী নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার ভিডিও নিয়ে উত্তাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে । বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি তাদের কণ্ঠে। মূল ধারার গণমাধ্যমের পাঠকরাও তীব্র নিন্দা আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্তব্যের ঘরে।
নোয়াখালীতে এই ঘটনাটি গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ঘটে । তবে এ ঘটনায় গতকাল রোববারে বেগমগঞ্জ থানায় দুই টি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই নারী মামলা করেন। ঘটনাটির পর ঐ ভুক্তভোগী নারী মামলা করেনি, তার জন্য আস্থাহীনতাকে দায়ী করেছেন বলে মনিরুল ইসলাম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী। তিনি আরো বলেন, ‘এক মাস আগে এত বড় ঘটনাটি ঘটলেও তাঁরা কিন্তু পুলিশের কাছে যাননি, যার কারণ, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। বিচার চাইতে গেলে উল্টো তিনি অনেক ঝামেলায় পড়তেন'।Struggle
ঘটনাটির সঙ্গে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করেন আলমগীর কবির খান নামের একজন ,‘এসব অপরাধীর যদি উপযুক্ত শাস্তি ভোগ না করেন, তাহলে অবশ্যই পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের অপরাধ করতে বিন্দুমাত্রও ভাববে না। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া টাই উত্তম।’ যাদের ছত্রচ্ছায়ায় এ ধরনের অপরাধ করার সাহস আসামিরা দেখাচ্ছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি অনেক মন্তব্যকারী। আক্তারুজ্জামান বাদল নামের একজন লিখেছেন, ‘যারা এই ধর্ষক তৈরি করে, তাদের আগে আইনের আওতায় আনা উচিত। একদিনে তো তাঁরা এত বড় অপরাধী হননি।’
ঘটনার এত দিন পরেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমালোচনা করেছেন ইব্রাহিম খলিল দিপু নামের একজন মন্তব্যকারী। তিনি বললেন, ‘ঘটনার ২০ দিন পর কেন প্রশাসনের টনক নড়ে? এর আগে কেন আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগী? ফেসবুকে ভাইরাল হলেই বিচার হবে? নয়তো এ দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েও বিচার পাওয়া যাবে না?’ ইব্রাহিম রহমান নামের একজনের মন্তব্য, ‘আজকে ভিডিও দেখে আমার বিচার চাচ্ছি, এ রকম হাজার মা-বোনের নির্যাতনের কোনো ভিডিও নেই এবং তাঁরা সামাজিক অপমানের ভয়ে আইনের সহযোগিতা নিতেও সাহস পান না।’ মোস্তাকিম রাসেলসহ অনেক পাঠকই ধর্ষণের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
0 comments: