Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত

এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত

এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত



দেশে এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই প্রথমবারের মতো এক দিনে শনাক্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এতে দেশে ৭০ হাজার ছাড়াল শনাক্তের সংখ্যা।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে আজ মঙ্গলবার এমন তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সব মিলে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৬৭৫ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে ৯৭৫ জনের।



গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন। এ নিয়ে সর্বমোট ১৫ হাজার ৩৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ২ হাজার ৭৩৫ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪২ জন।



ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬৬৪ জনের জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯৪৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৫টি নমুনা।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রাখছেন, যা অনভিপ্রেত। অক্সিজেন থেরাপি কারিগরি বিষয়, নিজে নিজে দিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অযথা এটি কিনে মজুত করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অক্সিজেন দেওয়া উচিত নয়।
 এসএসসির উত্তরপত্র খোয়া , কেন্দ্রসচিবসহ চার শিক্ষককে অব্যাহতি...দেখতে আসুন আপডেট-খবর

এসএসসির উত্তরপত্র খোয়া , কেন্দ্রসচিবসহ চার শিক্ষককে অব্যাহতি...দেখতে আসুন আপডেট-খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে গতকাল শনিবার এসএসসি পরীক্ষার গণিতের একটি উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রসচিব, সহকারী কেন্দ্রসচিব, ওই কক্ষের দুই পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব আহাম্মদ আলী, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী কেন্দ্রসচিব সহিদুল ইসলাম, ১১৩ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. জান্নাতুল ও বলিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাসার।
অব্যাহতি পত্রে বলা হয়েছে, ০৯/০২/২০১৯ তারিখ চলমান এসএসসি পরীক্ষার গণিত পরীক্ষায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আওতাধীন আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রের ১১৩ নম্বর কক্ষে ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ৩৯টি উত্তরপত্র পাওয়া গেছে। একটি উত্তরপত্র পাওয়া যায়নি। পাবলিক পরীক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে চলমান সব পরীক্ষা থেকে উক্ত চার শিক্ষককে অব্যাহতিসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।

একই পত্রে মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় কুমার চাকীকে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব এবং বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে সহকারী কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 রাজশাহীতে হারিয়েছে ৯টি নদী, ১০০ বছর পর একটি উদ্ধার....দেখতে আসুন আপডেট-খবর

রাজশাহীতে হারিয়েছে ৯টি নদী, ১০০ বছর পর একটি উদ্ধার....দেখতে আসুন আপডেট-খবর

রাজশাহীর নয়টি প্রবহমান নদীকে বন্যানিয়ন্ত্রণের নামে মেরে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে বেদখলে মানচিত্র থেকে চিহ্ন মুছে ফেলা এক নদীকে ১০০ বছরের বেশি সময় পর উদ্ধার করা হচ্ছে। এ জন্য পাকা বাড়ি, বিদ্যালয় ও আমবাগানসহ অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হয়েছে।
নদীগুলো হচ্ছে নারদ, সন্ধ্যা, স্বরমঙ্গলা, দয়া, বারাহী, হোজা, নবগঙ্গা, চিনারকূপ ও মুসাখান। সব কটিই ছিল পদ্মার শাখা নদী। এর মধ্যে নারদ নদীটিকে উদ্ধার করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারদ বাদেও নয়টি নদীর মধ্যে চিনারকূপ, জোহা ও মুসাখানের উৎসমুখ উদ্ধার করে পুনরায় সেগুলোর জীবনদান সম্ভব হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) নারদ নদীটিকে উদ্ধারে নেমেছে। তারা উৎসমুখ বাদ দিয়েই অপর একটি খালের মাধ্যমে পদ্মা নদীর সঙ্গে নদীটিকে সংযুক্ত করে দিয়েছে। তিন বছর আগে নদীটির খননকাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৪ কিলোমিটার উপশাখাসহ নদীর ৩৪ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। নারদের মোট তিনটি প্রবাহ। প্রথম প্রবাহ রাজশাহীতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি নাটোরে।
নারদের প্রথম প্রবাহটি রাজশাহী শহর থেকে নয় কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে শাহপুর গ্রামে। পদ্মা নদী থেকে এর উৎপত্তি। শাহাপুর থেকে কাটাখালি, কাপাশিয়া, জামিরা, হলিদাগাছি, মৌগাছি, পুঠিয়ার তাতারপুর, বিড়ালদহ, ভাড়রা ও কান্দ্রা পীরগাছা হয়ে নাটোরের ভেতর দিয়ে নন্দকুজা নদীতে পড়েছে।

বিএমডিএ খননকাজ করার সময় নদীটির উৎসমুখ থেকে খনন না করে রাজশাহীর চারঘাটের মুক্তারপুর এলাকায় পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত পাঁচ কিলোমিটার লম্বা একটি খাল খনন করে উপজেলার হলিদাগাছিতে নারদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। সেখান থেকে নারদের ভাটিতে খননকাজ করা হয়েছে। নদীর এই নতুন ধারা মুসাখানের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা জানান, নদীটি প্রায় ১০০ বছর আগে বেদখল হয়ে গিয়েছিল। নদীর তীরবর্তী মানুষেরা নদীটির দখল নিয়ে বাড়িঘর, বাগান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। আর এস রেকর্ডে নদীর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সিএস রেকর্ড দেখে নদীর প্রবাহ খুঁজে বের করা হয়েছে। এরপর নদীর জায়গা পুনরুদ্ধারে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। মন্ত্রী ও সাংসদদের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। আটটি পাকা বাড়ি, দুটি স্কুল, অনেক কাঁচা বাড়িঘর ও আমবাগান উচ্ছেদ করতে হয়েছে। এখন শুকনো মৌসুমে এই নদীতে পানি থাকছে। এই পানি সেচকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা নদী নারদের একটি শাখা। এর উৎসমুখ পুঠিয়া উপজেলার রঘুরামপুর বাগিচাপাড়ায়। পুঠিয়ার শিবপুর বাজারের পাশ দিয়ে বাঁশপুকুরিয়া, নন্দনপুর হয়ে কান্তার বিলে পতিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। নারদ খননের সময় এই নদীর উৎসমুখের চার কিলোমিটার খনন করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় ছিল স্বরমঙ্গলা নদীর উৎসমুখ। এই নদীর একটি শাখা ছিল দয়া। এটি নগরের কাজলা-জামালপুর ও নামোভদ্রা এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হতো। এই জামালপুর মৌজায় পড়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। নদীটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম দেয়াল বরাবর উত্তর দিকে বয়ে গেছে। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম দেয়ালের পাশে তাকালে নদীর রেখা বোঝা যায়। রেললাইনের উত্তর পাশে দয়া নদীর খাতটি বেশ স্পষ্টই ছিল। সমতল থেকে ৪ ফুট গভীর ও ২৫ গজ প্রশস্ত এই জলাভূমিতে বছরের ছয় মাস পানি থাকত। এই জায়গাটি এখন ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। এর পাশের রাস্তাটি চার লেন করা হচ্ছে। রেলক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এ কারণে নদীর অবশিষ্ট চিহ্নটুকুও ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। তবে এর উত্তর দিকে মেহেরচণ্ডী, খড়খড়ি বাজার, কুখুণ্ডী, বামন শিকড়, মল্লিকপুর, তেবাড়িয়া, সারাংপুর এলাকায় নদীর পুরো চেহারা এখনো স্পষ্ট।
পরিবেশবাদী সংগঠন হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ১৮৮৫ সালে কথিত বন্যানিয়ন্ত্রণের নামে পদ্মা নদীর তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তখন নগরের বুলনপুর এলাকা থেকে তালাইমারী পর্যন্ত ১২টি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। নদীগুলোর উৎসমুখেও এই স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে নদীগুলোর উৎসমুখ মরে যেতে থাকে। একপর্যায়ে নদীর পরিচয় হারিয়ে যায়। মানুষ ভুলে যায় নদীর নাম।