শীতে ছোট বাচ্চাদের যত্ন - ছোট বাচ্চারা খুবই কোমল এবং তাদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তাদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক বিকাশের জন্য তাদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে ছোট বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুদের সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়।ছোট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বয়স্কদের তুলনায় কম, তাই তারা এই রোগগুলিতে বেশি আক্রান্ত হয়।
অন্য পোষ্ট - ওয়ালটন ফ্রিজ ১০ সেফটি দাম কত
শীতে ছোট বাচ্চাদের যত্নের জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
শিশুর জন্য উষ্ণ পোশাক
শিশুকে উষ্ণ রাখুন। শিশুদের ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত উষ্ণ পোশাক পরান। উলের পোশাক একটি ভাল পছন্দ, কারণ এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। শিশুর মাথা, গলা এবং হাত সবসময় ঢাকা রাখুন।
শিশুর জন্য তরল
শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। শীতের শুষ্ক বাতাস শিশুদের মুখ এবং গলা শুষ্ক করে তুলতে পারে। শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করানোর মাধ্যমে তাদের হাইড্রেটেড রাখুন। গরম পানি, দুধ, স্যুপ এবং ফলের রস ভাল বিকল্প।
শিশুর জন্য গোসল
শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। শীতেও শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। তবে গোসলের সময় শরীরের কাছাকাছি তাপমাত্রার হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। গোসলের পর শিশুকে ভালো করে মুছে নিন যাতে সে ঠান্ডা না লাগে।
শিশুর জন্য বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত
শিশুকে বাইরে বের করার আগে প্রস্তুত করুন। শিশুকে বাইরে বের করার আগে পর্যাপ্ত উষ্ণ পোশাক পরান এবং তার মাথা, গলা এবং হাত ঢাকা রাখুন। শিশুকে বাইরে বের করার সময় একটি উষ্ণ কাপড় বা চাদর সঙ্গে নিন যাতে সে ঠান্ডা না লাগে।
শিশুকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য তাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন।
শীতের সময় শিশুদের জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার:
- আদা-লেবু চা: আদা এবং লেবু উভয়ই অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আদা-লেবু চা শিশুদের সর্দি এবং কাশির জন্য একটি ভাল ঘরোয়া প্রতিকার।
- গরম পানিতে গড়গড়া: গরম পানিতে গড়গড়া শিশুদের গলা ব্যথা এবং কাশি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
- মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা শিশুদের সর্দি এবং কাশির জন্য সাহায্য করতে পারে। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু দেওয়া উচিত নয়।
- তুলিসি পাতার রস: তুলসি পাতায় অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তুলসি পাতার রস শিশুদের সর্দি এবং কাশির জন্য একটি ভাল ঘরোয়া প্রতিকার।
শীতের সময় শিশুদের যত্ন নেওয়ার সময় এখানে কয়েকটি জিনিস মনে রাখা উচিত:
- শিশুকে ঠান্ডা বাতাস এবং ধুলাবালি থেকে রক্ষা করুন।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করান।
- শিশুকে নিয়মিত গোসল করান।
- শিশুকে বাইরে বের করার আগে প্রস্তুত করুন।
- শিশুকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয়
- শিশুকে উষ্ণ রাখুন। শিশুকে ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত উষ্ণ পোশাক পরান। শিশুর মাথা, গলা এবং হাত সবসময় ঢাকা রাখুন।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করানোর মাধ্যমে তাদের হাইড্রেটেড রাখুন। গরম পানি, দুধ, স্যুপ এবং ফলের রস ভাল বিকল্প।
- শিশুর নাক পরিষ্কার করুন। শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে, একটি নার্সারি ড্রপার দিয়ে নাকের ছিদ্রগুলিতে নরম লবণ জল ঢেলে দিন।
- শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। নবজাতক শিশুদের প্রতিদিন গোসল করা উচিত নয়। সপ্তাহে দু'বার বা তিনবার গোসল করা যথেষ্ট। গোসলের সময় শরীরের কাছাকাছি তাপমাত্রার হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। গোসলের পর শিশুকে ভালো করে মুছে নিন যাতে সে ঠান্ডা না লাগে।
- শিশুকে বাইরে বের করার আগে প্রস্তুত করুন। শিশুকে বাইরে বের করার আগে পর্যাপ্ত উষ্ণ পোশাক পরান এবং তার মাথা, গলা এবং হাত ঢাকা রাখুন। শিশুকে বাইরে বের করার সময় একটি উষ্ণ কাপড় বা চাদর সঙ্গে নিন যাতে সে ঠান্ডা না লাগে।
- শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য তাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন।
- শিশুকে গরম পানিতে গোসল করান।
- শিশুর বুকে গরম সেঁক দিন।
- শিশুকে তরল খাবার দিন।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম দিন।
- জ্বর ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি।
- শ্বাস নিতে অসুবিধা।
- বুকের ভেতর থেকে শব্দ।
- খাওয়ায় অনীহা।
- চোখের নিচে কালো দাগ।
নবজাতকের ঠান্ডার ঔষধ
- প্যারাসিটামল: প্যারাসিটামল একটি ব্যথানাশক এবং জ্বরনাশক যা নবজাতকদের জন্য নিরাপদ। এটি শিশুর জ্বর এবং মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
- ডিকলোফেনাক: ডিকলোফেনাক একটি আরও শক্তিশালী ব্যথানাশক যা নবজাতকদের জন্য নিরাপদ। এটি শিশুর জ্বর, মাথাব্যথা এবং গলাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ: যদি শিশুর সংক্রমণ হয়, তাহলে ডাক্তার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ লিখে দিতে পারেন।
উপসংহার :
শীতের সময় ছোট বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া জরুরি। শীতের বাতাস শুষ্ক এবং ঠান্ডা, যা শিশুদের সর্দি, কাশি, গলাব্যথা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ছোট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বয়স্কদের তুলনায় কম, তাই তারা এই রোগগুলিতে বেশি আক্রান্ত হয়
0 comments: