১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে - ই-পাসপোর্ট হলো এক ধরনের পাসপোর্ট যাতে ইলেকট্রনিক চিপ থাকে। এই চিপে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ছবি, জন্ম তারিখ এবং পাসপোর্ট নম্বর থাকে। ই-পাসপোর্টগুলি মেশিন রিডেবল, যা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের জন্য পাসপোর্ট যাচাই করা সহজ করে তোলে।
প্রথম ই-পাসপোর্ট 1998 সালে মালয়েশিয়া দ্বারা জারি করা হয়েছিল। তখন থেকে, 100 টিরও বেশি দেশ ই-পাসপোর্ট চালু করেছে।
বাংলাদেশ 2020 সালে ই-পাসপোর্ট চালু করে। বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট 48 বা 64 পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় এবং এটির মেয়াদ 5 বা 10 বছর।
এই সকল পোস্টগুলি দেখতে পারেন - ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র লাগবে:
আবশ্যিক কাগজপত্র:
- মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিন্টেড কপি (https://www.epassport.gov.bd/ থেকে আবেদন করতে হবে)
- আবেদনপত্রের সারসংক্ষেপের প্রিন্টেড কপি
- সম্প্রতি তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আকার: 3.5 cm x 4.5 cm)
- নির্ধারিত ফি প্রদানের রশিদ
অতিরিক্ত কাগজপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে):
- জন্ম নিবন্ধন সনদ (১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য)
- বিবাহের সনদপত্র (বিবাহিত মহিলাদের জন্য যাদের নাম পরিবর্তিত হয়েছে)
- طلاق সনদপত্র (তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্য যাদের নাম পরিবর্তিত হয়েছে)
- মৃত্যু সনদপত্র (যদি পিতা/মাতা মারা যান)
- অভিভাবকত্বের নথি (অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর জন্য যার NID নেই)
- পেশাগত সনদ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি)
- NOC/GO/প্রত্যয়নপত্র/অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/পেনশন বই (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ফি:
- ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট:
- ১০ বছর মেয়াদি:
- সাধারণ: ৳৫,৭৫০
- জরুরি: ৳৮,০৫০
- অতি জরুরি: ৳১০,৩৫০
- ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট:
- ১০ বছর মেয়াদি:
- সাধারণ: ৳৭,০০০
- জরুরি: ৳৯,৩০০
- অতি জরুরি: ৳১১,৬০০
আবেদন প্রক্রিয়া:
- একটি ব্রাউজারে https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে যান।
- "নতুন আবেদন" ক্লিক করুন।
- নির্দেশাবলী অনুসারে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
- আপলোডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান করা কপি প্রস্তুত করুন।
- আবেদনপত্র জমা দিন।
- অনলাইনে নির্ধারিত ফি প্রদান করুন।
- এসএমএসের মাধ্যমে আপনার ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ ও সময় পাবেন।
- নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্দিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যান।
- আপনার আবেদনপত্র যাচাই করা হবে।
- আপনার ছবি তোলা এবং আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।
- আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করুন।
শেষ কথা - বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ভ্রমণের জন্য বৈধ।