কিয়াম কারি কুকার - কিয়াম কারি কুকার একটি মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ডের রান্নার সরঞ্জাম। এটি একটি মাল্টি-ফাংশনাল কুকার যা ভাত, কারি, স্যুপ, স্টিমড ফুড ইত্যাদি রান্না করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি থার্মোস্ট্যাট-নিয়ন্ত্রিত হিটার এবং একটি স্টিমিং ট্রে দিয়ে সজ্জিত।
কিয়াম কারি কুকার বাজারে বেশ জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এদের কারি কুকার গুলো টেকসই, দামে সাশ্রয়ী এবং ব্যবহারে সহজ।
কিয়াম কারি কুকার কিনবেন কি না তা নির্ভর করে আপনার চাহিদার উপর। আপনি যদি টেকসই, দামে সাশ্রয়ী এবং ব্যবহারে সহজ একটি কারি কুকার খুঁজছেন, তাহলে কিয়াম কারি কুকার একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে, কেনার আগে বিভিন্ন মডেল সম্পর্কে ভালো করে রিসার্চ করে নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন - গিয়ার সাইকেল দাম কত | সাইকেলের ছবি ও দাম ২০২৪
হাইব্রিড বাই সাইকেল | সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
মোটা চাকার সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
হিরো সাইকেলের ছবি ও দাম বাংলাদেশ ২০২৪
কিয়াম কারি কুকার এর দাম ২০২৪
- Kiam KRC-2801: এই মডেলটিতে 2.8 লিটারের ক্যাপাসিটি, থার্মোস্ট্যাট-নিয়ন্ত্রিত হিটার এবং একটি স্টিমিং ট্রে রয়েছে। এর দাম সাধারণত ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকার মধ্যে থাকে।
- Kiam KRC-3001: এই মডেলটিতে 3.0 লিটারের ক্যাপাসিটি, থার্মোস্ট্যাট-নিয়ন্ত্রিত হিটার, একটি স্টিমিং ট্রে এবং একটি সেফটি লক রয়েছে। এর দাম সাধারণত ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকার মধ্যে থাকে।
কিয়াম কারি কুকার এর সুবিধা ও অসুবিধা

ভিশন আয়রন মেশিনের দাম
ভিশন আয়রন মেশিনের দাম জেনে নিন
- সহজ ব্যবহার: কিয়াম কারি কুকার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এতে একটি সহজ ইন্টারফেস রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সেটিংস নির্বাচন করতে দেয়।
- পরিষ্কার করা সহজ: কিয়াম কারি কুকারের সমস্ত অংশই সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এটি একটি নন-স্টিক প্যান দিয়ে তৈরি যা খাবার লেগে যাওয়া রোধ করে।
- মাল্টি-ফাংশনাল: কিয়াম কারি কুকার বিভিন্ন ধরণের খাবার রান্না করতে পারে। এটি ভাত, কারি, স্যুপ, স্টিমড ফুড ইত্যাদি রান্না করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ভাল মূল্য-সম্পর্কিত: কিয়াম কারি কুকার একটি ভাল মূল্য-সম্পর্কিত বিকল্প। এটি বাংলাদেশে অনেকগুলি খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
- ক্ষমতা: কিয়াম কারি কুকারের ক্ষমতা সীমিত। এটি একবারে 2.8 বা 3.0 লিটার খাবার রান্না করতে পারে।
- নিয়ন্ত্রণ: কিয়াম কারি কুকারের নিয়ন্ত্রণগুলি কিছুটা সীমিত। এটিতে শুধুমাত্র কয়েকটি সেটিংস রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন রান্নার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
- উচ্চতা: কিয়াম কারি কুকার কিছুটা উঁচু। এটি কিছু রান্নার জন্য সমস্যা হতে পারে, যেমন ভাত রান্না করা।
- আপনি যদি বড় পরিবারের জন্য রান্না করেন তবে একটি উচ্চ ক্ষমতার কুকার বিবেচনা করুন।
- আপনি যদি বিভিন্ন ধরণের রান্নার জন্য কুকার ব্যবহার করতে চান তবে একটি কুকার বিবেচনা করুন যাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- আপনি যদি ভাত রান্না করার জন্য কুকার ব্যবহার করতে চান তবে একটি কম উচ্চতার কুকার বিবেচনা করুন।
কিয়াম কারি কুকার এর বিশেষত্ব
- মাল্টি-ফাংশনাল: কিয়াম কারি কুকার বিভিন্ন ধরণের খাবার রান্না করতে পারে। এটি ভাত, কারি, স্যুপ, স্টিমড ফুড ইত্যাদি রান্না করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি একক রান্নার সরঞ্জাম যা আপনাকে অনেকগুলি খাবার রান্না করতে দেয়।
- সহজ ব্যবহার: কিয়াম কারি কুকার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এতে একটি সহজ ইন্টারফেস রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সেটিংস নির্বাচন করতে দেয়। এটি এমন লোকদের জন্য উপযুক্ত যাদের রান্না করায় খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই।
- পরিষ্কার করা সহজ: কিয়াম কারি কুকারের সমস্ত অংশই সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এটি একটি নন-স্টিক প্যান দিয়ে তৈরি যা খাবার লেগে যাওয়া রোধ করে। এটি এমন লোকদের জন্য উপযুক্ত যাদের রান্নাঘরে সময় কম থাকে।
- ভাল মূল্য-সম্পর্কিত: কিয়াম কারি কুকার একটি ভাল মূল্য-সম্পর্কিত বিকল্প। এটি বাংলাদেশে অনেকগুলি খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এটি এমন লোকদের জন্য উপযুক্ত যাদের একটি সীমিত বাজেটের মধ্যে একটি ভাল রান্নার সরঞ্জাম খুঁজছেন।
কিয়াম কারি কুকার ব্যবহারের নিয়ম
- কিয়াম কারি কুকার
- ভাত
- পানি
- মশলা
- কিয়াম কারি কুকারের ভেতরে থাকা ঝুড়িতে ভাত ও পানি পরিমাপ করে নিন।
- ভাতের পরিমাণের জন্য পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ১:১.৫ অনুপাত ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, ১ কাপ ভাতের জন্য ১.৫ কাপ পানি। তবে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পানি দেওয়ার পরিমাণ কম-বেশি করা যেতে পারে।
- ভাত ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- কারি কুকারের ভেতরে থাকা ঝুড়িটি নিচে নামিয়ে নিন।
- কারি কুকারের ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে দিন।
- কারি কুকারের সুইচ অন করুন।
- কারি কুকার চালু হয়ে গেলে, 'Rice' বাটনটি প্রেস করুন।
- ভাত রান্না হয়ে গেলে, কারি কুকার নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে।
- কারি কুকারের ঢাকনা খুলে, ভাত পরিবেশন করুন।
- কিয়াম কারি কুকারের ভেতরে থাকা ঝুড়িতে কারি রান্নার উপকরণ পরিমাণমতো নিন।
- উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- কারি কুকারের ভেতরে থাকা ঝুড়িটি নিচে নামিয়ে নিন।
- কারি কুকারের ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে দিন।
- কারি কুকারের সুইচ অন করুন।
- কারি কুকার চালু হয়ে গেলে, 'Curry' বাটনটি প্রেস করুন।
- কারি রান্না হয়ে গেলে, কারি কুকার নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে।
- কারি কুকারের ঢাকনা খুলে, কারি পরিবেশন করুন।
- কারি কুকারে ভাত রান্না করার সময়, ভাত ও পানির পরিমাণ ঠিকমতো মেপে নিন।
- ভাত রান্না হয়ে গেলে, কারি কুকারের ঢাকনা খুলে, ভাত ঝরিয়ে নিন। এতে ভাত ঝরঝরে হবে।
- কারি রান্না করার সময়, উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এতে কারি ভালোভাবে রান্না হবে।
- কারি রান্না হয়ে গেলে, কারি কুকারের ঢাকনা খুলে, কারি কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে কারি ভালোভাবে ঘন হয়ে যাবে।
- কারি কুকার ব্যবহার করার সময়, অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- কারি কুকার চালু করার আগে, ঝুড়ি ও ঢাকনা ভালোভাবে চেক করে নিন।
- কারি কুকারের ভেতরে থাকা ঝুড়ি ও ঢাকনা গরম থাকা অবস্থায় স্পর্শ করবেন না।
- কারি কুকারের সুইচ অন করার আগে, অবশ্যই ঝুড়ি নিচে নামিয়ে নিন।
- কারি কুকার চালু করার সময়, অবশ্যই ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে নিন।
কিয়াম কারি কুকার এর স্থায়িত্ব
- বাইরের শেল: প্লাস্টিক বা মেটাল
- ভেতরের ঝুড়ি: নন-স্টিক বা স্টিল
- ঢাকনা: প্লাস্টিক বা মেটাল
- কারি কুকারটি ব্যবহার করার আগে, এর ঝুড়ি ও ঢাকনা ভালোভাবে চেক করে নিন। কোনো ক্ষতি বা ত্রুটি থাকলে কারি কুকারটি ব্যবহার করবেন না।
- কারি কুকারটি ব্যবহার করার সময়, অবশ্যই সঠিক নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
- কারি কুকারটি ব্যবহার করার পর, অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
- কারি কুকারটি ব্যবহারের সময়, বেশি গরম হওয়া থেকে বিরত রাখুন।
- কারি কুকারটি ব্যবহার করার সময়, ভাত ও পানির পরিমাণ ঠিকমতো মেপে নিন।
- ভাত রান্না হয়ে গেলে, কারি কুকারের ঢাকনা খুলে, ভাত ঝরিয়ে নিন। এতে ভাত ঝরঝরে হবে।
- কারি রান্না করার সময়, উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এতে কারি ভালোভাবে রান্না হবে।
- কারি রান্না হয়ে গেলে, কারি কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে কারি ভালোভাবে ঘন হয়ে যাবে।
0 comments: