ছোট শিশুর কাশি হলে করণীয় -শিশুর কাশি শুকনো বা কফযুক্ত হতে পারে। শুষ্ক কাশি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ, যেমন সর্দি-কাশি। কফযুক্ত কাশি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ, যেমন নিউমোনিয়া।
১ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়
- শ্বাসকষ্ট
- গভীর লালচে বা নীলচে ত্বক
- জ্বর 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট (40 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি
- খাওয়া বা পান করার অসুবিধা
- কাশি 7 দিনের বেশি স্থায়ী হয়
- শিশুর বুকে উষ্ণ ভেজা তোয়ালে রাখুন, যা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুকে হালকাভাবে পিঠে মালিশ করুন, যা কফ বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুকে উষ্ণ গরম স্নান করুন, যা গলাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুর কাশি যদি 7 দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি উপস্থিত থাকে তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- শিশুকে ধূমপান থেকে দূরে রাখুন।
- শিশুকে ঠান্ডা বা শুষ্ক বাতাস থেকে দূরে রাখুন।
- শিশুকে প্রচুর বিশ্রাম দিন।
২ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল দিন, যা কফ পাতলা করতে এবং বের করে দিতে সাহায্য করবে।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করান
- শিশুকে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ খাওয়ান, যা কফের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- শিশুকে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ খাওয়ান
- শিশুকে উষ্ণ গরম পান করুন, যা গলাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।
- শিশুকে উষ্ণ গরম পান করুন
- শিশুর ঘরে আর্দ্রতা যোগ করুন, যা গলাকে শুষ্ক হতে থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
- শিশুর ঘরে আর্দ্রতা যোগ করুন
- শিশুকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখুন।
- শিশুকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখুনএটি একটি নতুন উইন্ডোয় খোলে
- শিশুকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখুন
- শ্বাসকষ্ট
- গভীর লালচে বা নীলচে ত্বক
- জ্বর 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট (40 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি
- খাওয়া বা পান করার অসুবিধা
- কাশি 7 দিনের বেশি স্থায়ী হয়
- শিশুর বুকে উষ্ণ ভেজা তোয়ালে রাখুন, যা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুর বুকে উষ্ণ ভেজা তোয়ালে রাখুনশিশুকে হালকাভাবে পিঠে মালিশ করুন, যা কফ বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুকে হালকাভাবে পিঠে মালিশ করুন
- শিশুকে উষ্ণ গরম স্নান করুন, যা গলাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুকে উষ্ণ গরম স্নান করুনএটি একটি নতুন উইন্ডোয় খোলে
- শিশুকে ধূমপান থেকে দূরে রাখুন।
- শিশুকে ঠান্ডা বা শুষ্ক বাতাস থেকে দূরে রাখুন।
- শিশুকে প্রচুর বিশ্রাম দিন।
৬ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাওয়াতে হবে। তরল খাবার কফ পাতলা করতে সাহায্য করে, যা কাশি কমাতে সাহায্য করে। পানি, ফলের রস, গরম চা, বাড়িতে তৈরি ভেষজ চা ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
- শিশুকে গরম রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুকে গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। শিশুর ঘরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে।
- শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কাশি শিশুকে অস্বস্তি করে তোলে। তাই তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বুকের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- শিশুর বুকে গরম ভেষজ তেল মালিশ করা যেতে পারে।
- শিশুকে গরম পানির ভাপ দেওয়া যেতে পারে।
- শিশুকে আদা বা তুলসী চা খাওয়ানো যেতে পারে।
- শিশুর কাশি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
- শিশুর জ্বর হয়।
- শিশুর বমি হয়।
- শিশুর পেট ব্যথা হয়।
১০ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাওয়ান। তরল খাবার কফকে পাতলা করে এবং কাশির মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে। শিশুকে বুকের দুধ, পানি, ফলের রস, বা স্যুপ খাওয়ানো যেতে পারে।
- শিশুকে উষ্ণ রাখুন। গরম পানির ভাপ নেওয়া বা উষ্ণ কাপড় জড়িয়ে দেওয়া শিশুকে আরাম দিতে পারে।
- শিশুকে ধূমপান থেকে দূরে রাখুন। ধূমপান শিশুর কাশি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান যদি:
- কাশি ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়
- কাশি সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ থাকে
- শিশুকে গরম চা, তুলসীপাতার রস, বা মধু খাওয়ান।
- শিশুকে পিঠে আঘাত করে কাশি বের করে দিতে সাহায্য করুন।
- শিশুকে উষ্ণ জলে গোসল করিয়ে দিন।
ছোট বাচ্চার কাশির ওষুধ -বাচ্চার কাশি হলে অনেক মা-বাবা ওষুধ খাওয়াতে চান। তবে, বাচ্চার বয়স এবং কাশি কিসের কারণে হচ্ছে সেটা নির্ণয় করে তবেই ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
ছোট বাচ্চাদের কাশি দুই ধরনের হতে পারে:
- প্রডাক্টিভ কাশি: এই ধরনের কাশি থেকে কফ বের হয়। এই কফ বের হওয়ার ফলে শিশুর গলা পরিষ্কার হয়।
- নন-প্রডাক্টিভ কাশি: এই ধরনের কাশি থেকে কফ বের হয় না। এই কাশি শুকনো এবং বেদনাদায়ক হতে পারে।
ছোট বাচ্চাদের কাশি নিরাময়ের জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে সেগুলো হলো:
কফ সিরাপ: কফ সিরাপের প্রধান উপাদান হলো গুয়েফেনেসিন। এই উপাদান কফকে তরল করে তোলে, ফলে কফ সহজে বের হয়।
অ্যান্টিহিস্টামিন: অ্যান্টিহিস্টামিন কাশির কারণ হতে পারে এমন অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
বেদনানাশক: কাশির কারণে ব্যথা হলে বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশির সিরাপ দেওয়া উচিত নয়। এই
সিরাপগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে
- বমি বমি ভাব
- বমি
- মাথা ঘোরা
- তন্দ্রা
ছোট বাচ্চাদের জন্য কাশির ওষুধ দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ছোট বাচ্চাদের কাশি কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায়:
- শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাওয়াতে হবে। তরল কফকে তরল করে তোলে, ফলে কফ সহজে বের হয়।
- শিশুকে গরম পানি বা চা খাওয়াতে হবে। গরম পানি বা চা গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- শিশুর নাক পরিষ্কার রাখতে হবে। নাক বন্ধ থাকলে শিশুর শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং কাশি বাড়তে পারে।
- শিশুকে উষ্ণ রাখতে হবে। ঠান্ডা লাগলে কাশি বাড়তে পারে।
ছোট বাচ্চাদের কাশি বেশি দিন ধরে থাকলে বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় কাশির ওষুধের নাম:
- গুয়েফেনেসিন সিরাপ: এই সিরাপ কফকে তরল করে তোলে এবং কাশিকে সহজ করে তোলে।
- অ্যালার্জির ওষুধ: অ্যালার্জির কারণে কাশি হলে এই ওষুধগুলো সাহায্য করতে পারে।
- বেদনানাশক: কাশির কারণে ব্যথা হলে এই ওষুধগুলো সাহায্য করতে পারে।
ছোট বাচ্চাদের জন্য কাশির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম:
- শিশুর বয়স এবং ওজন অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করুন।
- ওষুধের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
- ওষুধটি খাওয়ানোর আগে শিশুর সাথে কথা বলুন এবং তাকে হাসুন।
- ওষুধটি শিশুর মুখে ঢেলে দিন।
- শিশুকে ওষুধটি গিলার জন্য সাহায্য করুন।
- শিশুকে ওষুধটি খাওয়ানোর পরে তাকে জড়িয়ে ধরুন এবং তাকে আশ্বস্ত করুন।
ছোট বাচ্চাদের জন্য কাশির ওষুধ খাওয়ানোর সময় সতর্কতা:
- দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশির সিরাপ দেওয়া উচিত নয়।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
0 comments: