Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
বাংলাদেশে ৩৬% মোবাইল ম্যালওয়্যার আক্রান্ত....দেখতে আসুন আপডেট-খবর

বাংলাদেশে ৩৬% মোবাইল ম্যালওয়্যার আক্রান্ত....দেখতে আসুন আপডেট-খবর

ম্যালওয়্যার আক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে। ছবি: কমপারিটেক।
দেশের মোট মোবাইলের ৩৫ দশমিক ৯১ ও পিসির ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রামে আক্রান্ত। সে হিসাবে বিশ্বের ৬০ টি দেশের মধ্যে বাজে সাইবার নিরাপত্তার দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৬ নম্বরে। ম্যালওয়্যারের আক্রমণ, সাইবার নিরাপত্তা প্রস্তুতি, হালনাগাদ সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন বিবেচনায় এ গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কমপারিটেক।
মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৯ কোটি মোবাইল ফোন সক্রিয় রয়েছে। ১৫ কোটি সিম সক্রিয় রয়েছে। মোট ফোনের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ২৫–৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ কম্পিউটার বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে প্রতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার ইউনিট পিসি বিক্রি হচ্ছে।
কমপারিটেকের তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর ৪৭ দশমিক ২১। বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে কেবল উজবেকিস্তান, তানজানিয়া, ভিয়েতনাম,ইন্দোনেশিয়া ও আলজেরিয়া। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে অবস্থা আলজেরিয়ার। তাদের স্কোর ৫৫ দশমিক ৭৫। তালিকায় ৪৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে পাকিস্তান। ভারতের অবস্থান ১৫ তম। ভারতের স্কোর ৩৯ দশমিক ৩০। এ তালিকায় যে দেশের স্কোর সবচেয়ে কম সে দেশ সাইবার নিরাপত্তায় তত বেশি শক্তিশালী। তালিকায় মাত্র ৮ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে জাপান। এরপরের অবস্থান যথাক্রমে ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া।

কমপারিটেক তাদের প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে, সেখানে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাজে অবস্থানে জন্য মোবাইল ম্যালওয়্যার ও কম্পিউটার ম্যালওয়্যারের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে ম্যালওয়্যারের আক্রমণের হার বা সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত হালনাগাদ আইন রয়েছে। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা প্রস্তুতির বিষয়টি বিবেচনা করতে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০১৭ সালের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স (https://www.itu.int/dms_pub/itu-d/opb/str/D-STR-GCI.01-2017-R1-PDF-E.pdf) বিবেচনা করা হয়েছে। ওই তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশর অবস্থান ৫৩।
কমপারিটেকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে আর্থিক খাতে আক্রমণ ১ দশমিক ৩ শতাংশ, আইওটি বা টেলনেট ক্ষেত্রে আক্রমণ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ক্রিপটোমাইনারসের আক্রমণ ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।
কমপারিটেক তাদের প্রতিবেদনে আরও বলেছে, কয়েকটি দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও কিছু ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশসহ প্রতিটির দেশে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। কম্পিউটার ও মোবাইল খাতে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো, সাইবার নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।
 ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আয়ের নতুন ৫ উপায়....আসুন আপডেট-খবর

ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আয়ের নতুন ৫ উপায়....আসুন আপডেট-খবর

ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজের একটি বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। এ খাত থেকেও অর্থ আয়ের নতুন নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।

এন্টারপ্রেনার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এখানে প্রকল্প ভিত্তিতে একের পর এক কাজের সুযোগ থাকে। যেকোনো জায়গায় বসে বিশ্বের যেকোনো কাজ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারের কাজের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকে না বলে প্রতি বছর এখাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এডেলম্যান ইনটেলিজেন্স নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন। এ হিসাব ধরলে দেশটির ৩৬ শতাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছ, তাদের হিসাব অনুযায়ী ২০২৭ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ কর্মী ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার আগ্রহ বাড়তে থাকায় অনেক উদ্যোক্তা এই কমিউনিটি নিজে কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সারদের বাজার লক্ষ্য করে সেবা বাড়াতে চান তারা এখাত থেকেও অর্থ আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার থেকে অর্থ আয়ের উপায়: আসুন
1:-ফ্রিল্যান্সারদের কাজ খোঁজার সুবিধা:অনেক সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজ খুঁজে পান না। তাঁদের কাজ পেতে চেষ্টা করতে করতে হতাশ হতে পারেন। তাদের লক্ষ্য করে যদি সেবা আনা যায় তবে সেখান থেকে অর্থ আয় হতে পারে। যেমন তারকাদের অনেক সময় এজেন্টের প্রয়োজন পড়ে তেমনি ফ্রিল্যান্সারদের কাজ খুঁজে দেওয়ার জন্যও সেবার প্রয়োজন পড়ে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সারদের হাতে এত কাজ থাকে যে তারা আর সেবা বাড়াতে পারেন না। তখন তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে সেবা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এখাতে যারা নতুন তাদের জন্য কাজ খুঁজে পাওয়া কঠিন। উদ্যোক্তারা চাইলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিয়ে নিজে তা থেকে অর্থ আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে কাজদাতার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া বা নিজস্ব ব্যবসা এভাবে বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব।
2:-ফ্রিল্যান্সার ব্যবস্থাপনা: ফ্রিল্যান্সারদের এজেন্ট হওয়ার বিষয়টি ব্যবস্থাপনার কাজের একটি অংশ হতে। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের খোঁজ দিয়ে বা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে তাদের যুক্ত করার পর সেগুলো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। যাঁদের স্থায়ী ক্লায়েন্ট বা ক্রেতা তৈরি হয় তাঁদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ব্যবসা বাড়াতে হয়। এ ক্ষেত্রে নিজে কাজের পাশাপাশি ব্যবস্থাপক হিসেবেও বড় হওয়ার সুযোগ থাকে। কারও হাতে যদি কোনো শিল্পী ফ্রিল্যান্সার থাকে তবে তাদের কাজগুলো বিক্রি করে দেওয়া, তাদের অর্থ দেখাশোনা করা, তাদের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থাপনার কাজ করেও আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করাটা জরুরি।
3:-ফ্রিল্যান্সারদের জীবনবৃত্তান্ত ও কভার লেটারে সাহায্য করা: অনেক সময় কাজের জন্য তৈরি কভার লেটার ও সঠিক জীবনবৃত্তান্তের কারণে কাজ পান না নতুন কোনো ফ্রিল্যান্সার। যাঁদের লেখার দক্ষতা ভালো এবং দুর্দান্ত সিভি লিখতে পারেন তখন ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটিতে আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সারদের ভালো জীবনবৃত্তান্তের ওপর অনেক কাজ নির্ভর করে। এ কাজে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আপনি ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হিসেবে অর্থ আয় করতে পারবেন।
4:-ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা উন্নয়ন: অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন যাঁরা এখাতে নতুন এবং খুব বেশি দক্ষতা নিয়ে মাঠে নামেননি। তাঁদের জন্য প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা শক্ত। তাই তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি এ সুযোগ নিতে পারেন। নিজের দক্ষতা থাকলে আপনি তা অন্যদের শেখাতে পারেন। গ্রাফিকস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকৌশল, লেখালেখির মতো নানা বিষয়ে আপনি প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করছেন তাঁরা দক্ষতা উন্নয়নের জন্য অন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
5:-পেশাগত পরামর্শ: ফ্রিল্যান্সিং খাতে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। যাঁরা এখাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাদের পরামর্শ নতুনদের জন্য কাজে লাগবে। আপনি চাইলে আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে পারেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ বা ব্লগ তৈরি করে আপনি পেশাগত পরামর্শ বিনিময় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই সফল হয়েছেন। যেহেতু এ খাতটি বড় হচ্ছে আপনিও এখাতে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় যে গুণটা দরকার, তা হল নিজ থেকে বুঝে নেয়ার ক্ষমতা!

আর খেয়াল করলে দেখবেন, এসব ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং বলে SEO কে বুঝানো হয়। কিন্তু একজন এক্সপার্ট এসিও প্রফেশনাল বলতে পারবেন এই ট্রেইনিং এ SEO এর ১০% ও শেখানো হয়না। কারণ ট্রেইনাররা ডাউনলোড করা কোর্স থেকে শেখায়, যা কিনা কয়েক বছর আগেই আউটডেটেড। আর এই খাতে প্রতিদিন নতুন আপডেট আসছে।
আবার সম্পূর্ণ SEO এর কাজ পুরো মার্কেটের কাজের ১% এর চেয়ে কম। তার মানে আরও ৯৯% কাজ আছে, যেগুলোতে বাংলাদেশি মানুষ নেই বললেই চলে।
একবার ভাবুন, ১% কাজ ধরলাম ১০ হাজার জব। কিন্তু অলিতে গলিতে ট্রেইনিং সেন্টাররা SEO ই শেখায়। সে হিসাবে SEO শেখা মানুষ লাখের উপরে। তার মানে এ খাতেও বেকারত্ব দেখা যাবে।
অন্যদিকে এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট, থ্রিডি, অটোক্যাড, এনিমেশন, ডেটা সাইন্স এরকম কাজ গুলোতে এদেশের খুব কমই স্কিল্ড আছে। এই খাতে কম্পিটিশনও কম। ডিমান্ডিং কাজ গুলোর একটা স্টাডি কমেন্টে দিচ্ছি।